অমল কৃষ্ণ পালিত, যশোর প্রতিনিধি: বুধবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে যশোরের শার্শা উপজেলার ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১টি রিভলবার, ২টি ওয়ান শুটারগান,৬রাউন্ড গুলি ও একটি মোবাইল ফোন সহ তাদের আটক করেছেন জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি।
আটককৃতরা হলেন, ধান্যখোলা দক্ষিণপাড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম (৪০) ও ধান্যখোলা উত্তরপাড়ার মৃত আব্দূল মান্নানের ছেলে আতিয়ার রহমান (৩০)।
জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবি’র ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও খুলনার বিভিন্ন অঞ্চলে কথিত চরমপন্থি সংগঠন “নিউ বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি ও পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টি” শ্রেণী শত্রু নিধন করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও চাঁদাবাজির জন্য কয়েকটি হত্যাকান্ড সংঘটিত করে। উল্লেখিত ঘটনাসমূহ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষন করে জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও হত্যা কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলি সরবরাহকারীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের জন্য জেলা গোয়েন্দা শাখাকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
তারই ধারাবাহিকতায়, ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, এসআই শফি আহমেদ রিয়েল, এএসআই রঞ্জন কুমার বসু সঙ্গীয় ফোর্সসহ একটি টিম বেনাপোল পোর্ট থানার ধান্যখোলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্র-গুলি সরবরাহকারী ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী মহিদুল ইসলামের বসতঘর থেকে ৩টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড গুলি ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল পর্যালোচনায় জানা যায়, কথিত চরমপিন্থ সংগঠন “নিউ বিপ্লবী কমিউনিষ্ট পার্টি’র নেতা দিপংকর বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অস্ত্রগুলি সরবরাহ করে চরমপন্থি সংগঠনের সন্ত্রাসী কাযক্রম ও মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে।
উল্লেখিত উদ্ধারকৃত অবৈধ অস্ত্রগুলি সংক্রান্তে এসআই মফিজুল ইসলাম,বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি রুপন কুমার সরকার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।